আজ থেকে ১২ বছর আগে আমাদের মোবাইল ফোনটা ছিল কেবলই এক ‘ফোন’। ছিনতাই হয়ে যাওয়া ছাড়া ভয়ের কিছুই ছিল না তাতে। কিন্তু এখন দিন বদলেছে, প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন।
এই ঘোর কলিকালে স্মার্টফোন ব্যবহার করেও কিভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন সাইবার ক্রিমিনালদের হাত থেকে? জেনে নিন এমন কিছু টিপস।
* ফোনে একটা ‘পিন লক’ সেট করে রাখুন। কাজটা খুব সহজ। ৬০ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী এটিই করে থাকেন। পিন সেট করা থাকলে ফোন চুরি হলেও সেটি আনলক করে তথ্য চুরি করা যাবে না।
* পাবলিক প্লেসে ওপেন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকা অবস্থায় ফেইসবুক, জিমেইল বা ব্যাংকিং জাতীয় কাজ না করাই ভালো। এসব নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অত্যন্ত দুর্বল। কোনো ক্ষেত্রে নিরাপত্তা তো আদৌ থাকে না।
* ফোন করে যদি কেউ এ রকম বলেন, ‘আপনার ব্যাংক থেকে বলছি, ক্রেডিট কার্ডে সমস্যা আছে, আপনার নম্বরটা বলুন তো’ ইত্যাদি। এসব একদম বিশ্বাস করবেন না। এটি খুব সহজ একটা প্রতারণার কৌশল। বরং ফোন কেটে দিয়ে আপনার ব্যাংকের পরিচিত নম্বরে ফোন করুন। এমনকি ইনকামিং ফোনের নম্বর চিনলেও বিশ্বাস করবেন না। কারণ ভুয়া ইনকামিং কলার আইডি বানিয়েও ব্যাংকের বা পরিচিত কোনো ফোন নম্বর থেকে অপরাধীরা ফোন করতে পারে।
* স্মার্টফোনের ফেইসবুকে বা ই-মেইলে স্থায়ীভাবে লগ ইন করে রাখবেন না। কারণ ফোনটা একবার বেহাত হলেই সর্বনাশ! একটু কষ্ট হলেও বারবার লগ ইন করুন। কাজ শেষে আবার লগ আউট করে দিন।
* দরকারি ও গোপনীয় কাগজপত্রের কপি ফোনে না রাখাই ভালো।
* ফোন ট্র্যাকিং সফটওয়্যার ইনস্টল করে রাখুন। এতে ফোনটা হারালেও ট্র্যাক করতে পারবেন। আবার এ রকম সফটওয়্যারে রিমোট ওয়াইপিং করা যায়। এতে ফোন হারালেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোপন তথ্যগুলা ডিলিট করে দিতে পারেন।
* অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার সময় খেয়াল রাখুন কোথা থেকে তা ইনস্টল করছেন, সেটি কি আসলেই গুগল বা অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর, নাকি নকল কোনো সাইট, যা সাইবার অপরাধীরা বানিয়ে আপনাকে টোপে ফেলতে চাইছে?
সবাইকে ধন্যবাদ ভাল থাকবেন, প্রযুক্তির সাথেই থাকবেন
ফেসবুকে আমি